মুমিন বান্দাকে আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক ভালোবাসেন। একজন মুমিন বান্দা কীভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, সেটিও আল্লাহ কুরআনে শিখিয়ে দিয়েছেন। বোখারি ও মুসলিম শরিফে হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের প্রায়ই সময় এ দোয়াটি পড়তেন—

‘রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাবান্নার।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান কর। আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচাও।’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত ২০১) একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রোগী দেখতে গেলেন। তিনি দেখলেন—

রোগী একেবারে হাড্ডিসার হয়ে গেছে। নবীজী (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি আল্লাহর কাছে কি কোনো প্রার্থনা করেছিলে? সে নিবেদন করল, হ্যাঁ। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, হে আল্লাহ! আমার পরকালের শাস্তি আপনি আমাকে দুনিয়াতেই দিয়ে দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আশ্চর্যান্বিত হয়ে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ!

আল্লাহর শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা কি কারও আছে? তুমি এখন থেকে এ দোয়া করতে থাক, রাব্বানা আতিনা…। ’ দেখা গেল, এ দোয়ার বরকতে আল্লাহতায়ালা তাকে আরোগ্য দান করলেন।

আজও আমরা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনার পাশাপাশি জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে বাঁচতে চাই। হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে আপনার শেখানো দোয়ার মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।